-->

কেন বর্তমানে ৯৯% মানুষই জীবনে ব্যার্থ হবে? Why most of the Peoples failed in their life?

কেন বর্তমানে ৯৯% মানুষই জীবনে ব্যার্থ হবে? Why most of the Peoples failed in their life?

প্রথমে চলুন আমরা কিছু ভিন্নরকম বিষয় বিবেচনা করি ।
Why most of the Peoples failed in their life? and how to become successful man
About 99% People failed in their life!
আমরা সবসময় টার্গেট করি যে আমার মা বাবা চায় আমি পুলিশ হই,ডাক্তার হই অথবা ইঞ্জিনিয়ার হই।তাই আমারও মন চায় এটাই হব ।

কিন্ত আসলে এইগুলা হচ্ছে একটা কথার কথা । ছোটবেলায় মা বাবার কাছে অথবা আত্মীয়স্বজনের কাছে শুনি এইসব স্বপ্ন তাই আমরা এইগুলোই হবার চেষ্টা করি ।
কিন্ত আমরা কেউ এইটুকু বিষয় জানিও না যে,সবার রুচি একরকম না । একেকজন মুখে একরকম বললেও অন্তর থেকে অন্য কোনো বিশেষ কাজকে ভালোবাসে ।

যখন কেউ যুবক বয়সে আসে অর্থাৎ প্রায় ১৬-২৫ বছর বয়সেই তার চিন্তা ভাবনা, মনোভাব ইচ্ছা দৃষ্টিভংগি সম্পুর্ন পরিবর্তন হয়ে যায় । আর সবার মধ্যে যে সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে তা প্রকাশ হতে শুরু করে ।

তখন একেক জনের রুচি একেক রকম হয়ে যায় । কেউ চায় আমি পড়াশুনা না করে খেলাধুলা করব, BKSP তে চান্স নিয়ে খেলাধুলা করব ।

আবার কেউ কেউ নিত্য নতুন আধুনিক স্বপ্ন দেখে । কেউ কেউ বড় ধরণের বিজনেসম্যান হতে চায়,কেউ চায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করবে ।

কিন্ত সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় আমাদের পরিবার ও পরিবেশ।

আমাদের দেখা স্বপ্ন বা ইচ্ছা গুলো মাটি চাপা পরে যায় আমাদের পিতা মাতার স্বপ্নের জন্য । অনেকের পিতা মাতা বলে না এসব করে কিছুই হবে না,পড়াশুনাই প্রধান।।
"তুই পড়াশুনা করে (Ex: ডাক্তার) হবি,এটাই আমার স্বপ্নত "
"আমার আশা তোকে আমি অনেক বড় ইঞ্জিনিয়ার/পাইলট/ডাক্তার বানাবো । বাবা তুই ভালো করে পড়াশুনা কর । খেলাধুলা,ইউটিউবিং,বিজনেস দিয়ে কিছুই হবে না । "

আবার কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা যায় পরিবারে এসব কথা না বললেও, শুধু এইটুকু বলবে "তুমি এসব করে কিছুই করতে পারবে না । এর চেয়ে ভালো তুমি পড়াশুনা করো।।"

অর্থাৎ পরিবারের কারণে শেষ হয়ে যায় স্বপ্নগুলো । ফলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে চেষ্টা করে মা বাবার স্বপ্ন পুরন করতে । কারণ আমরা সবাই চাই মা-বাবা যেন আমাদের কারণে কষ্ট না পায় ।

আবার কেউ কেউ মা-বাবার কথার বিরুদ্ধে হলেও নিজের ইচ্ছাকে বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা করে । তখন বাবা-মা তাকে সাহায্য করতে চাইলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবার পরিস্থিতি ।তখন দেখা যায় ছেলের স্বপ্ন পুরন করার জন্য তেমন পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হয়না,অথবা টাকা পয়সা যোগার করা সম্ভব হয়না ।

আবার কারও কারও পরাশুনা করে বড় কিছু হবার স্বপ্ন থাকলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় কিছু বিপদজনক পরিস্থিতি।

যেমন দেখায় যায় হটাত করে বাবার দুর্ঘটনা বা মৃত্যুর কারনে ছেলে সংসারের হাল ধরতে চেষ্টা করে । তখন পরিবার সামলানোর চাপে শেষ করতে হয় নিজের জীবনের স্বপ্নগুলোকে ।

আর যারা সব কিছু তাল মিলিয়ে নিজের জীবনে পরিশ্রম করে যেতে সক্ষম হয়,বুঝতে হবে তাদেরকে এটা আল্লাহ তায়ালা ভাগ্যে দিয়েছে এবং তাদেরও যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হচ্ছে ।

তবে শতকরা মাত্র ০.৩৩% মানুষই নিজের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়ন করতে সফল হয়।

***এখন আসি প্রধান কথায়:
এতক্ষন তো দেখলাম নিজের জীবনে সফল হওয়া না হওয়ার কারণগুলো,কিন্ত জীবন একেবারে ব্যার্থ বা নষ্ট হয়ে যায় কেনো?
When Someone failed in relation, he addicted to drugs
আমাদের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় প্রবনতা হচ্ছ প্রেম করা বা ভালোবাসা বা ভালোলাগা । এই ভালোবাসা অথবা ভালোলাগা থেকেই একটা ছেলে বা একটা মেয়ে অন্য আরেকজনকে নিয়ে ভবিষ্যৎ এর জন্য স্বপ্ন দেখে । একে অপরের মধ্যে একটা আন্তরিকতা ও মিলবন্ধন তৈরি হয় ।
দেখা যায়, ছেলেটি যখন তার নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিশ্রম করবে তখন সে তার মুল্যবাদ সময় নষ্ট করে অন্য একটা মেয়ের জন্য । মেয়ের ক্ষেত্রেও তাই । আসলে মেয়ে সময় নষ্ট করলেও তাদের বেশী কিছু চিন্তা করতে হয়না ।

কারণ একটা মেয়ে যতই ভালো হউক আর খারাপ হউক না কেনো । সে তার বিয়ের পর স্বামীর ঘরে গিয়ে স্বামীর পরশ্রমেই চলে । নিজে কোনো ক্যারিয়ার বা চাকরি নিয়ে চিন্তা করতে হয়না । তবুও মেয়েদের বিভিন্ন ক্ষতি হয় এভাবে প্রেম-ভালোবাসায় আগে আগে সময় নষ্ট করলে ।

তো যাই হউক,আমরা আসি প্রধান কথায়।
এভাবে যখন ছেলেটি তার মুল্যবান সময় নষ্ট করে অন্য মেয়ের পিছনে,তখন মেয়েটিও ঠিক তেমনি করে সময় নষ্ট করে । এভাবে যত কিছুই হউক না কেনো,ছেলেটির কিন্ত পড়াশুনা এর উপর বিরুপ প্রভাব পরে । একসময় দেখা যায়,মেয়েটির বয়স বিয়ের সমান হয়ে যায় । তখন তার বাবা মা তাকে জোড় কররে বিয়ে দিতে চায় । তাদের মধ্যে যতই ভালোবাসা থাকুক না কেনো,মেয়ের বয়স যখন ১৮-২০ ছেলে তখনও পড়াশুনা করছে মাত্র কলেজ লাইফে। আবার কিছু কিছু মেয়েদের আরও আগেই বিয়ে হয়ে যায় ।

তখন ছেলেটিরও কোনো সামর্থ থাকে না,মেয়েটিকে বিয়ে করে ঘরে আনার । (((আবার কেউ কেউ পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে অল্প বয়সেই। এবং তারপর কোনো ছোটখাটো কাজ করে ফ্যামিলি সাপোর্ট ছাড়াই । এতে একসময় ছেলে ও মেয়ের মধ্যে বিভিন্ন কারণে ঝগড়া বিবাদ হয় এবং সম্পর্ক টা নষ্ট হয়ে যায়। তবে পালিয়ে গিয়ে অল্প বয়সে বিয়ের মাত্র ১% হয়)

এতে দেখা যায় ছেলেটির মন মানসিকতা একেবারেই শেষ হয়ে যায়। এবং বিভিন্ন বাজে নেশায় যুক্ত হয়। একসময় বখাটে হয়ে যায়।

আবার কিছু কিছু ছেলে এমনিতেই খারাপ বন্ধুদের সাথে মিশে সংগ দোষে লোহা ভাসার মত নষ্ট হয়ে যায় ।

ফলে এভাবেই জীবন নষ্ট হয়ে যায় । আর কিছুই করার থাকে না ।
To collect money for buying drigs,People do crimes in our society
ফলে দেখা যায়,একটিকে দেশে বেকারত্ব,সন্ত্রাসী,রাহাজানি,লুটপাত ও বিভিন্ন খারাপ কাজের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে । এটা শুধু বাংলাদেশে নয়,সকল দেশেরই অবস্থা ।

অর্থাৎ সারসক্ষেপ হচ্ছে প্রথমে ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে মুল্যবান সময় অন্য মেয়ের পিছনে নষ্ট করে, ফলে ক্যারিয়ার নষ্ট হয়। অর্থাৎ ভালো কোনো চাকরি বা কাজ করতে পারে না । বেকার হয়ে যায় ।যার মেয়েটি যখন ছেলেটির সাথে সংসারে জড়িত হতে ব্যার্থ হয়ে (কারণ কোনো বাবা মা-ই চায় না ক্যারিয়ার বিহিন বা বেকার ছেলের কাছে তার মেয়ের বিয়ে দিতে) তখন ছেলেটি আরও খারাপ হয়ে যায়। নষ্ট হয়ে যায় আর জড়িত হয় বিভিন্ন খারাপ কাজে । দেশে শান্তি বিনষ্ট হয় ।

এখন আসি প্রতিকারের কথায়; মনে রাখবেন কেউ খারাপ হলে তাকে আর ভালো করাটা সম্ভব হয়না । অর্থাৎ এটার শুধু প্রতিকারই সম্ভব কিন্ত প্রতিরোধ সম্ভব নয় । তাই এখানে আমাদের সবাইকে এক সাথে মিলে মিশে এই সমস্যা সমাধান করতে হবে । বিশেষ করে এখানে নিজ দায়ীত্বে থেকে এসব থেকে মুক্ত থাকতে হবে ।
How to become successful man in the present situation?
*সর্বপ্রথম কাজ হবে নিজের কোনো ক্যারিয়ার তৈরির আগে অর্থাৎ ভালো কিছু করার আগে নিজের ভবিষ্যৎ এর জণ্য মেয়ে খুজে প্রেম করা যাবে না।।নাহলে আমও যাবে আবার ছালাও যাবে। কারণ আপনি ভবিষ্যৎ এর জণ্য মেয়ে ঠিকই পাবেন কিন্ত টিকিয়ে রাখতে পারবেন না ।

*২য় কাজ,আমাদের পড়ালেখার সময় হউক আর কাজ শেখার সময় হউক,যেটাই হউক না কেনো,মোটেও সময় অন্য কাজে নষ্ট করা যাবে না।।
বিশেষ করে ধর্ম অনুযায়ী নিজ থেকে নিজেকে সংযত রাখুন নারীর কাছ থেকে। নাহলে জীবনে একসময় বার্থ হতে হবে ।

*নিজের স্বপ্ন পুরণ করতে পারেন আর না পারেন কমপক্ষে সাধারণভাবে নিজের জীবনকে চালিয়ে নেয়ার উপযোগী করে তুলুন যেন কোনরকম খেয়ে পরে হলেও বাচতে পারেন। মনে রাখবেন, জীবনে বেচে থাকবেন সর্বোচ্চ ৬০-৭০ বছর তারপর কিন্ত আরেক দুনিয়ায় যেতে হবে যেখানে আপনার সকল কুকর্ম ও আমলের হিসাব দিতে হবে ।আপনাকে আল্লাহ শুধু নিজের দুনিয়াবি জীবনকে সুন্দর ও আরামদায়ক করতে পাঠায়নি। পাঠিয়েছে ইবাদত বান্দেগির জন্য। এর মধ্যে আপনাকে সামান্য হলেও বিনোদন ও আনন্দ দিয়েছে যেটার একটা মাত্রা আছে । তাই দুনিয়াকে বড় করে দেখবেন না । শুধু ধর্ম অনুযায়ী চলুন তাহলেই চলবে ।

আর আপনু যদি অন্য ধর্মেরও হয়ে থাকেন তবুও বলব আপনিও আপনার ধর্ম মেনে চলুন তাহলেই সব কিছু ঠিকঠাক থাকবে । কোনো ধর্মই খারাপ ও অসৎ কাজ মেনে নেয় না ।

******সর্বশেষ যে কথাটা বলব সেটা হলো সঙগদোষে লোহা ভাসে । তাই চেষ্টা করুন খারাপ মানুষের সাথে না মিশতে ।
খারাপ বন্ধুবান্ধব এড়িয়ে চলুন । যদি পারেন তাদেরকে বুঝিয়ে ভালো পথ দেখান ।

আপনারা নিজেরা নিজেদের দায়ীত্বে নিজেদের দিকে লক্ষ রাখবেন।
এই শুভ কামনা রইল। সবার জণ্য ।
পোস্টটি চাইলে ফেইসবুকসহ যেকোনো সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অন্যদেরও উপকার করতে পারেন ।

Writer:
Hasanat Gazi

Share this:

Disqus Comments