-->

হার্ট এ্যাটাক এবং এর প্রতিরোধ সম্পর্কিত আলোচনা

হার্ট এ্যাটাক এবং এর প্রতিরোধ সম্পর্কিত আলোচনা

হৃৎপেশির সুস্থতার জন্য ক্রমাগতভাবে অক্সিজেন-সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহ জরুরি। করোনারি ধমনির মাধ্যমে অক্সিজেন-সমৃদ্ধ রক্ত পেশিতে পৌছায়। চর্রি জাতীয় পদার্থ,  ক্যালশিয়াম, প্রোটিন প্রভৃতি করোনারি ধমনির অন্তর্গাত্রে জয়া হয়ে বিভিন্ন আকৃতির প্লাক গঠন করে। একে করোনারি অ্যাথেরোমা (coronary atheroma) বলে।
প্লাকের বহির্ভাগ ক্রমান্বয়ে শক্ত হয়ে ওঠে।  এভাবে প্লাক শক্ত হতে হতে যখন চরম পর্যায়ে পৌছায় এগুলো বিদীর্ণ হয়। অণুচক্রিকা জমা হয়ে প্লাকের চতুর্দিকে তখন রক্ত জমাট বাধতে শুরু করে। রক্ত জমাট বাধার কারণে করোনারি ধমনির লুমেন (গহ্বর)  সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হৃৎপেশিতে পুষ্টি ও অক্সিজেন-সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়, ফলে হৃৎপেশি ধ্বংস হয় বা মরে যায় এবং হার্ট এ্যাটাকের মতো মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। হার্ট এ্যাটাকের অপর নাম মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্ক(মায়োকার্ডিয়াল অর্থ হৃৎপেশি, আর ইনফার্কশন অর্থ অক্সিজেনের অভাবে দম বন্ধ হওয়া)

কীভাবে আমরা হার্ট এ্যাটাক প্রতিরোধ করতে পারি?

প্রতিরোধ :
১. ঋতুকালীন টাটকা ফল ও সবজি খেতে হবে।
২. চর্বি ও কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে।
৩. বডি-মাস ইন্ডেক্স ( Body Mass Index, BMI) মেনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।
৪. সঠিক ওজন, রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম ( যেমন- প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাটা ইত্যাদি) করতে হবে।
৫. ধূমপায়ী হলে অবশ্যই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে,  অধূমপায়ী হলে ধূমপান না করার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। 
৬. জীবনাভ্যাসে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ করে রাখতে হবে।
৭. কোলেস্টেরল,  রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। 
৮. চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে বা বন্ধ করতে হবে।
৯. বছরে অন্তত একবার(সম্ভব হলে দুবার সমগ্র দেহ চেকাপের ব্যবস্থা করতে হবে। 

Share this:

Disqus Comments