দেহের প্রতিটি অঙ্গের বেঁচে থাকার জন্য হৃদপিণ্ডের সুস্থতা জরুরি। কিন্তু এই হৃদপিণ্ড যখন আর সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না তখনই তাকে হার্ট ফেইল্যুর বলা হয় যা সহজভাবে হার্ট ফেল নামে পরিচিত। হার্ট ফেল করলে হৃদপিন্ড সংকোচনের মাধ্যমে রক্ত বের করতে পারে না ফলে ফুসফুস, পা এবং পেটে পানি জমে যায়। হার্ট ফেইল্যুর হঠাৎ হতে পারে আবার ধীরে ধীরেও হতে পারে। অনেকে ভুলক্রমে হার্ট এ্যাটাক এবং হার্টফেইলকে একই রোগ ভেবে থাকেন। হার্ট এ্যাটাক এবং হার্ট ফেইলর আলাদা সমস্যা, যদিও একটির কারণে অন্যটি হতে পারে। আবার দুটি একসঙ্গেও হতে পারে। হার্ট ফেইল্যুর বা হৃদপিন্ডের ব্যর্থতা বা কর্মহীনতার জন্য সময়মত প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।
কারনঃ
* উচ্চ রক্ত চাপ।
* হার্টের ভাল্বের সমস্যা।
* এনিমিয়া (রক্তশূণ্যতা)।
* হার্টে ভাইরাস সংক্রামণ।
* থাইরয়েড গ্রন্থির রোগ।
* পেরিকার্ডিয়ামের রোগ।
* সিসটেমিক রোগ ইত্যাদি কারনে হার্ট ফেইল্যুর হতে পারে।
লক্ষনঃ
* শ্বাস কষ্ট
* শরীরে অতিরিক্ত পানি বা ইডেমা
* কাশি
* দূর্বল লাগা
* রাতে অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া
* ক্ষুধা মন্দা, বমি ভাব
* বুক ব্যথা।
চিকিৎসাঃ
হৃদরোগীকে হৃদরোগ চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। এই চিকিৎসা ধারাবাহিকভাবে চালাতে হবে। চিকিৎসার ব্যাপারে অবহেলা কোন মতেই কাম্য নয়। ফেইলুরের রোগীর অবস্থা যে কোন সময়ে খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই হৃদরোগের চিকিৎসকের তত্বাবধানে যথাযথ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য হার্ট ফেইলুরের চিকিৎসার বিকল্প নেই।
প্রতিরোধ ব্যবস্থাঃ
* ধূমপান, তামাক, জর্দা, গুল, নস্যি বর্জন করতে হবে।
* সকল প্রকার আলগা লবণ বন্ধ করতে হবে।
* উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস থাকলে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
* নিয়মিত কায়িক শ্রম করতে হবে।
* ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
* সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে।
* পরিমিত ঘুম ও বিশ্রাম নিতে হবে।
হার্ট ফেইলুর একটি ধারাবাহিক রোগ যা নিয়মিত চিকিৎসা ও জীবন যাত্রা পরিবর্তনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই আদর্শ জীবন যাপন করাই সবচেয়ে উত্তম উপায়।
Home
Amazing and Healty Life
Learn by GM Hasanat
হার্ট ফেইল্যুর আর হার্ট এ্যাটাক এক জিনিস না। হার্ট ফেইল্যুর সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন