১/ডিমঃ
ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। একটি ডিমের সাদা অংশ, এক চা চামচ অলিভ অয়েল এবং মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি সারা চুলে মাখিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
২/মেথিঃ
এটি চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া কমিয়ে আনে এবং চুল দ্রুত বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি চুলের প্রাকৃতিক রঙ ধরে রাখে। এক চা চামচ মেথি গুঁড়া, ২ চা চামচ নারিকেলের দুধ একসাথে মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
৩/আলুর রসঃ
আলুর রস চুলের বৃদ্ধিতেও সমানভাবে কার্যকরী। পরিমাণমতো আলুর রস নিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি চুল পড়া রোধ করতেও সাহায্য করে।
৪/নারিকেলের দুধঃ
নারিকেলের দুধ হচ্ছে প্রোটিন, আয়রন, পটাসিয়াম এবং এসেনশিয়াল ফ্যাটে সমৃদ্ধ একটি উপাদান। এটি চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে আপনাকে দিবে স্বাস্থ্যজ্জ্বল, সুন্দর চুল। চুল পড়া, চুল ভেঙ্গে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে তাই ব্যবহার করতে পারেন নারিকেলের দুধ। নারিকেল কুড়িয়ে অল্প পানিতে ভিজিয়ে রেখে এরপর সেই নারিকেল চিপে এর রস বের করে নিন। স্ক্যাল্পে এবং চুলে নারিকেলের দুধ লাগিয়ে এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের রুক্ষ ভাব কমে গিয়ে চুল নরম এবং সুন্দর হবে।
৫/জবা ফুলঃ
চুলের যত্নে এই ফুলের উপকারিতা লিখে শেষ করা যাবে না। চুলের বিভিন্ন পণ্যে তাই এই ফুলের ব্যবহার বেশ লক্ষণীয়। চুলের খুশকি রোধ করা থেকে শুরু করে চুলের বৃদ্ধিতে, নতুন চুল গজাতে এবং অকালে চুল পাকা রোধ করতে এই ফুলের জুড়ি নেই। একটি জবা ফুল বেটে পরিমাণ মতো নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে লাগান। এক ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। মুহূর্তের মধ্যেই চুল হয়ে উঠবে নরম, কোমল এবং সিল্কি।
৬/গ্রিন টিঃ
গ্রিন টি তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট যা চুল পড়া রোধ করে এবং নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। গ্রিন টি স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করে এক ঘণ্টা রাখুন এবং এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের সৌন্দর্য রক্ষা সম্ভব।