-->

পরিযায়ী পাখি- ভোঁতালেজি

পরিযায়ী পাখি- ভোঁতালেজি

সবাইকে আবারো স্বাগতম এই ব্লগ সাইটে। আজকে আপনাদের জন্য থাকছে আবারো একটি পাখির তথ্য।চলুন শুরু করা যাক।

অনেকেই হয়তো চিনবে না পাখিটিকে। আবার হয়তো কেউ কেউ অন্য কোনো পরিচিত পাখির সাথে মিলিয়ে ফেলবে। আবার অনেকেই টুনি  পাখির সাথে মিলিয়ে ফেলবে।আসলেই একে টুনিও বলা হয় তবে নামটা শুধু টুনি নয়।সাথে লেজকাটা কথাটাও আছে। একসাথে করলে হয় লেজকাটা টুনি।  তবে বামন গরনের হওয়ায় একে বামন লেজকাটা টুনি নামে ডাকা হয়। তবে এর প্রচলিত নাম ভোঁতালেজি। ইংরেজি নাম Asian Stubtail. Scientific name: urosphena squameiceps.

এই পাখিটিকে সূত্র মতে দেখা যায় ২০১৩ সালে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে।পরে একে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে দেখা যায় ২০১৫,২০১৭ সালে। পাখিগুলোর দৈর্ঘ্য মাত্র ৯.৫-১০.৫ সেন্টিমিটার। ওজন ৮-১০ গ্রাম এর বেশি না। স্ত্রী পুরুষ দেখতে এক রকম। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির দেহের উপরটা লালচে বাদামি,মাথা কালচে বাদামি আর ডানা,লেজ,কোমর বাদামি। চোখের উপরে কালো ডোরা দাগ আছে। তবে আই দাগটির উপর হলদে সাদা লম্বা ও প্রশস্ত ভ্রুরেখাটি ঘাড় পর্যন্ত ছুঁয়ে গেছে। গাল ও গলায় কালচে বা বাদামি ছিট দেখা যায়। এদের চোখ বাদামি হয়। ওপরের ঠোঁট কালচে বাদামি,নিচেরটুক ধূসর। পা,নখ ফ্যাকাসে ।

এই পাখির মূল আবাস জাপান,কোরিয়া,দক্ষিণ-পূর্ব রাশিয়া ও উত্তর-পূর্ব চীন। এরা একা একা বা জোড়ায় থাকে। ঘন ঝোপঝাড়ে বেশি দেখা যায় । আকার ছোটো হওয়ায় সহজে খোলা আকাশে আসে না। মাটিতে লাফিয়ে লাফিয়ে চলে ও বিভিন্ন কীটটপতংগের শূককীট খায়। আস্তে আস্তে করে সি-সি-সি-সি শব্দে ডাকতে ডাকতে জোরে ডাকা শুরু করে।

মে-জুন হল এদের প্রজনন কাল। ডিম পাড়ে একসাথে ৫-৬ টি।  ডিমের রঙ গোলাপি,যার উপর গোলাপি-লাল বা লালচে বাদামি দাগ-ছোপ থাকে। স্ত্রী একাই ডিম তা দেয় আর ১৩ দিনে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এরা মাত্র ১৩ দিনে বড় হয়।

                      পি.ডি.জয়
    তথ্য: প্রথম আলো,উইকিপিডিয়া।
         

Share this:

Disqus Comments